বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় পৌরসভা মাঠে গণশুনানির অভিযোগ পর্বে স্থানীয় জনসাধারণ ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, অফিস সহকারী, দপ্তরি ও পিয়ন নিয়োগে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. জাফর ইকবালসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একেএম গালিব খান মডারেটর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক নাসিম আনোয়ার সহকারী মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির (দুপ্রক) সহযোগিতায় ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে অনুষ্ঠিত এ গণশুনানিতে দুদকের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, টিআইবির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফজিলা খানম, মুক্তাগাছা দুপ্রকের সভাপতি অধ্যক্ষ স্বপন দাস, সনাকের সভাপতি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রাজিব উল আহসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলা ও দুর্নীতি বিরোধী গণশুনানির দ্বিতীয় দিন বুধবার (২৪ জানুয়ারি) নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩০টি স্টল স্থান পায়।
অভিযোগ পর্বে অভিযোগকারীরা বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও মাদ্রাসা সুপারের সমন্বয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কয়েক বছরে তিনি কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
তারা অভিযোগ করে আরো বলেন, যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের বিষয় থাকে সেসব প্রতিষ্ঠানে তিনি ম্যানেজিং কমিটি গঠনের ভূমিকা রাখেন। শিক্ষক প্রতিনিধিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনি তার অফিসে ডেকে এনে নিজস্ব লোক দিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করে দেন।
এমনও দেখা যায় একই ব্যক্তি ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হন। নির্ধারিত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তিনি সরে গিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে সভাপতি হন।
তবে এসব বিষয়ের কোন কোনটি সরাসরি অস্বীকার এবং ও কোন কোনটির পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উত্তর দেন শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এমএএএম/এমজেএফ