বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে আজমিরীগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব আহমেদ তালুকদার শুনানি শেষে মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলায় ইউএনও পুলক কান্তি চক্রবর্তী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী এবং উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. জাকারিয়াকে আসামি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জিল্লুর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উন্নয়ন মেলার পাশে সরকারের উন্নয়ন কাজের বর্ণনাসহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দের ছবি সংবলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে পদদলিত করেন। এতে এক হাজার কোটি টাকার মানহানি হয়েছে। এ ঘটনা রাষ্ট্রদ্রোহেরও সামিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জে তিনদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু হলে মেলার মধ্যে এবং উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় কয়েকটি ব্যানার লাগান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিব। ব্যানারে তিনি স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ছবি ব্যবহার করেন এবং এমপি আব্দুল মজিদ খানের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ছবি ব্যবহার করেন। ১৩ জানুয়ারি ইউএনও’র নির্দেশে মেলা ও অফিস প্রাঙ্গণ থেকে সব দলীয় ব্যানার অপসারণ করা হয়। বিকেলে ইউএনও মেলা পরিদর্শনে গেলে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বাবুল রায় ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিবের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে মেলায় থাকা দর্শনার্থীরা ইউএনওকে মেলা থেকে তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। তখন সেখানে উপজেলার সব সরকারি কর্মকর্তা মিলিত হন এবং মেলা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখেন। পরে সন্ধ্যায় ইউএনও’র কার্যালয়ে এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতর আলীসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। সেখানে বাবুল রায় ও মমিনুর রহমান সজিব ইউএও’র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু তাতে বিষয়টি মিমাংসা হয়নি। পরে ১৪ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে এ ঘটনায় আজমিরীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বাবুল রায় ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মমিনুর রহমান সজিবের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে মামলায় আসামি করা হয়। মামলায় উকেদ আলী নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বুধবার পাল্টা মামলা করা হলো যুবলীগ নেতার পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এসআই