ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উত্তরায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষের আড়াই ঘণ্টা পর রেল চালু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
উত্তরায় ট্রেন-ট্রাক সংঘর্ষের আড়াই ঘণ্টা পর রেল চালু দুর্ঘটনা

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় ট্রেনের সঙ্গে গাছের গুড়ি ভর্তি ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরার আজমপুর রেল ক্রসিংয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

এতে ট্রাকের পেছনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে গাছের গুড়ি পড়ে ট্রেনটি আটকে যায়। ফলে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।

পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে গাছের গুড়ি সরালে রাত ১২টা ৫০ মিনিটে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য লিয়াকত আলী বাংলানিউজকে বলেন, সিলেট থেকে যাত্রীবাহী পারাবত ট্রেনটি ঢাকা আসার পথে আজমপুর রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকে থাকা গাছের গুড়ি পড়ে ট্রেনের নিচে চলে যায়। ফলে ট্রেনটি আটকা পড়ে। ঘটনার পর থেকে ট্রাকের চালকসহ তার সহকারী পলাতক রয়েছে।

এদিকে ওই দুর্ঘটনার ফলে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেসসহ একাধিক ট্রেন সাময়িকভাবে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে। পরে ধীরে ধীরে ট্রেনগুলো ঢাকায় আসতে শুরু করে।

দুর্ঘটনা

গাজীপুরের টঙ্গি স্টেশনে আটকে পড়া লালমনি এক্সপ্রেসের যাত্রী অপু খান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ট্রেন টঙ্গীতে ৪০ মিনিট আটকে ছিলো। পরে ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে। এখন রাত ১টা ২০ মিনিটে আজমপুর এসেছে।

আজমপুর রেল ক্রসিং এর গেটম্যান কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে গাছের গুড়ি বোঝাই ট্রাকটি আজমপুরের দিক থেকে এসে দক্ষিণ পাশের ‘স’ মিলের দিকে যায়। পরে এবি টিম্বার ট্রেডার্স অ্যান্ড ‘স’ মিলের সামনে থেকে ঘোরার সময় ট্রাকের পেছনের অংশ রেললাইনের ওপরে চলে যায়। এসময় সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস এসে ট্রাকের পেছনের অংশে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে ট্রাকের পেছনের অংশ ভেঙে গেলেও মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি।

কামাল বলেন, ঘটানর সঙ্গে সঙ্গে আমি রেলওয়ে থানায় খবর দেই। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে গাছের গুড়ি কেটে লাইন ক্লিয়ার করলে ১২টা ৫০ মিনিটে ট্রেনটি চলে যায়। পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এদিকে রেলপথের ১০ গজের মধ্যে সাধারণের চলাচল নিষেধ এবং পুরো লাইনের দু’পাশে ২০ ফুট করে মোট ৪০ ফুট জায়গায় কোনো অবস্থাতেই স্থাপনা গড়ে তোলা (রেলওয়ে স্টেশন ও রেলওয়ে অফিস বাদ দিয়ে) যাবে না এই মর্মে আইন থাকলেও আজমপুর রেলক্রসিং এলাকায় দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।

দুর্ঘটনার পরে ওই এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে রেললাইনের মাত্র কয়েক ফুট পাশেই সারি সারি ‘স’ মিল রয়েছে। আর এসব ‘স’ মিলের কাঠের গুড়িগুলো রেল লাইনের ১-২ ফুটের মধ্যে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ওই ট্রাকটিও সেখানে গাছের গুড়ি নামাতে পার্ক করা হচ্ছিল বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮

এসআইজে/এজেডএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।