বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে ব্রিজ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করলে তা ভেঙে পড়তে পারে। তাই দুর্ঘটনারোধে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বেইলী ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার জন্য বগুড়া সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২সালে শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের মাঠপাড়া গ্রামে গাড়ামারা খালের ওপর সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের অর্থায়নে ৬২ মিটার দৈর্ঘ্য বেইলী ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।
সেই ব্রিজের ওপর দিয়ে অতিরিক্ত মালামাল বোঝাই ভারী যানবহন চলাচলা করায় ট্রানজাম ও স্টিল টেকিং (পাটাতন) নষ্ট হয়ে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু এরপরও ব্রিজের ওপর দিয়ে ভারী যান চলাচল থেমে থাকেনি। এতে করে একাধিকবার পাটাতন ভেঙে পড়ায় ব্রিজের ওপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর সওজ’র সংশ্লিষ্টরা জোড়াতালি দিয়ে ব্রিজ মেরামত করে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে একইভাবে ব্রিজের পাটাতন ভেঙে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
বরাবরের মতই বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলের দিকে হঠাৎ ব্রিজের পাটাতন ভেঙে পড়ায় ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। আর এতে করে বগুড়ার সঙ্গে শেরপুর, ধুনট, সোনাহাটা, মথুরাপুর, জোড়শিমুল, গোসাইবাড়ি, ঢেকুরিয়া ও কাজিপুর উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। সঙ্গে যাত্রী সাধারণের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
বগুড়া সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, দেশের বাইর থেকে বেইলী ব্রিজের সরঞ্জামাদি আমদানি করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে আমদানি বন্ধ রয়েছে।
এ কারণে নতুন পাটাতন আপতত নেই। তাই বাধ্য হয়ে পুরানো পাটাতন দিয়ে ব্রিজটি মেরামত করতে হয়েছে। এবারও মনে হয় তেমনটি করতে হবে। তবে মেরামতের কাজটি দ্রুত করা হবে যোগ করেন মো. আশরাফুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৮
এমবিএইচ/এএটি