বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি এলাকায় যমুনা ব্যাংকের সামনে গড়ে উঠেছে অবৈধ লেগুনা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড। এখানে মহাসড়ক দখল করে ২০/৩০টি লেগুনা ও সিএনজি সব সময় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এছাড়া মহাসড়ক ও ফুটপাত দখল করে ফলের দোকান, কাপড়ের দোকানসহ গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ দোকানপাট। বাধ্য হয়ে মানুষ মহাসড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এতেও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রাইভেটকার চালক মোতালেব মিয়া বাংলানিউজকে জানান, প্রায় প্রতিদিন তাকে কালিয়াকৈর থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা এলাকায় যেতে হয়। আর প্রতিদিনই এ এলাকায় যানজটের শিকার হতে হয় তাকে। ৮-১০ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে দেড় থেকে দু’ঘণ্টা সময় লাগে। প্রতিদিন তাকে ৩-৪ ঘণ্টা যানজটেই থাকতে হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. রাশেদুল জানান, মহাসড়কের দুই পাশে ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে অবৈধ দোকানপাট। ওইসব দোকানপাট থেকে প্রতিদিন টাকা উঠানো হয়। তাছাড়া মহাসড়কটিতে বিভিন্ন যানবাহনের স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। যার ফলে সব প্রকার যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাসুদেব সিনহা বলেন, ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কে কোনো লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা থাকতে দেওয়া হয় না। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ফোরলেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে। এছাড়া কোনাবাড়ি এলাকায় একটি ফ্লাইওভারের কাজ করা হচ্ছে। ফলে যানবাহন ঠিকমত চলতে পারায় কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে কাজ করছে পুলিশ।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ফোরলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প সাসেকের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফোরলেনে উন্নীতকরণ ও কোনাবাড়ি এলাকায় ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। তবে যানবাহন চলাচলে কোনো বাধা সৃষ্টি হচ্ছে না। মহাসড়কে নিবিঘ্নে যান চলাচল করার মতো জায়গা আছে। এছাড়া ফুটপাতের দোকানপাট উচ্ছেদে স্থানীয় পুলিশকে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
আরএস/ওএইচ/