ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্নীতি মামলায় এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
দুর্নীতি মামলায় এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বেসরকারিখাতের এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকসহ তিনজন গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিদেশে ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার বাকিরা হলেন- ব্যাংকের হেড অব ট্রেজারি আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং ব্যবসায়ী মো. সাইফুল হক।

 

দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, গ্রেফতার ব্যবসায়ী সাইফুল হক এবি ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খানের জামাতা। আর এই অর্থ পাচারের পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন তিনি।  

আর দুদকের অনুসন্ধানে অর্থ পাচারের এই তথ্য বেরিয়ে আসায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল থানায় ৮জনকে আসামি করে মামলা (নম্বর-৩০) করেন।  
 
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এবি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহমেদ চৌধুরী, মো. ফজলুর রহমান, হেড অব ও বি ইউ মোহাম্মদ লোকমান, হেড অব করপোরেশন ট্রেজারি অ্যান্ড এএমএল মোহাম্মদ মাহফুজ উল ইসলাম এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নুরুল আজিম।

দুদক সূত্রে জানা যায়, পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়েই এবি ব্যাংক থেকে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৬৫ কোটি টাকা প্রায়) মধ্যপ্রাচ্যের একটি ব্যাংকে স্থানান্তর করেন আসামিরা।  

আর এই টাকা এবি ব্যাংক লিমিটেডের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) শাখা চট্টগ্রামের ইপিজেড থেকে দুবাইয়ে পাচার করা হয়। এরপর পাচার করা অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে তা আত্মসাৎ করেছেন তারা।
 
এদিকে ডিসেম্বরে তাদের কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। আর জিজ্ঞাসাবাদে ২৮ ডিসেম্বর দুদকের মুখোমুখি হলে  অনুতপ্ত হয়ে ওয়াহিদুল হক বলেন, পাচার হওয়ার পরে তিনি বুঝতে পেরেছেন টাকাগুলো পাচার হয়েছে। কিন্তু তখন আর তার কিছুই করার ছিলো না।  

ওই সময় নিজেকে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত না থাকারও দাবি করেন তিনি। মামলার তদন্ত চলাকালে তার পাসপোর্ট জব্দ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫,২০১৮
এসজে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।