বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের গড়কুমারপুরে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বারসিক’ ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় কৃষক মকবুল হোসেন।
এসময় আলোচনায় অংশ নেন- পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান মিণ্টু, মোকছেদ আলী সানা, সাবেক ইউপি সদস্য নারগিস পারভিন ঝর্ণা, কৃষক আব্দুল জলিল, কৃষাণী মঞ্জিলা বেগম, কৃষক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, লবণ পানির ঘের শুরু হওয়ার আগে পদ্মপুকুর ইউনিয়নের প্রত্যেক পরিবারই হাঁস, মুরগি, ভেড়া, ছাগল, গরু, মহিষ পালন করতো। কিন্তু গ্রামের চারিদিকে লবণ পানির ঘের হওয়ায় গবাদিপশু-পাখির খাদ্য, চারণভূমি ও সুপেয় পানির উৎস নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বিলুপ্তির পথে প্রাণবৈচিত্র্য। বিপন্ন হচ্ছে প্রান্তিক জনজীবন। কৃষি জমিতে ঘের করায় কমে যায় কাজ। মানুষকে কাজের সন্ধানে বাইরে যেতে বাধ্য হতে হয়। গত মৌসুমে কিছু এলাকায় ধান লাগিয়ে ভাল ফলন পাওয়া গেছে। এতে পুনরায় কৃষি চাষাবাদে ফিরতে পারলে পদ্মপুকুরে শান্তি ফিরবে। থাকবে না কাজের অভাব। নিশ্চিত হবে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা। এজন্য লবণ পানির চিংড়ি চাষ বন্ধের বিকল্প নেই।
স্থানীয় জনগোষ্ঠী কৃষি চাষাবাদে ফেরার জন্য গভীর নলকূপ বসানো, জমির উপরের লবণ মাটি ও বালির স্তর কেটে ফেলা, জমিতে গোবর সার ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
টিএ