এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে মেলায় আসা যে কোনো নতুন বই বাংলা একাডেমি যাচাই-বাছাই করে দেখে স্টলে বিক্রির অনুমতি দেবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ডিএমপি সদর দফতরে বইমেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় তিনি একথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বইমেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মেলার ভেতরে ও বাইরের চারপাশে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে। ইভটিজিং ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে থাকবে পুলিশের ফুট ও মোটরসাইকেল পেট্রলিং।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে থাকবে ওয়াচ টাওয়ার, ফায়ার টেন্ডার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। বইমেলার আশপাশ হকার মুক্ত করা হবে। বাংলা একাডেমির স্টিকার ছাড়া কোনো গাড়ি মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবে না।
প্রত্যেক দর্শনার্থীকে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে মেলায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যদি কোনো লেখক ও প্রকাশকের বিশেষ নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় তাহলে মেলায় স্থাপিত পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করলে তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। যেকোনো নতুন বই মেলায় আসলে বাংলা একাডেমি তা যাচাই-বাচাই করে দেখবেন। যাতে কোনো বই ধর্মীয়, সামাজিক ও জাতীয় মূল্যবোধে আঘাত না করতে পারে।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ, লেখক ও প্রকাশক সংস্থার প্রতিনিধি ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
পিএম/এএ