বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সংসদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠক শেষে সদস্য ফখরুল ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, আর্মড পুলিশ সেখানে কাজ করছে। কিন্তু বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার সংখ্যা তো ১০ লাখ।
তিনি জানান, কুতুপালং ক্যাম্পসহ কক্সবাজারে অবস্থিত সব রোহিঙ্গা শরণার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘ফেন্সিং’ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার সুপারিশ করেছে কমিটি।
বৈঠকে জানানো হয়, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা ১০ লাখ ৩৮ হাজার রোহিঙ্গার নিবন্ধন করা হয়েছে। এর ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র করতে পারবে না।
বৈঠকে আরও জানানো হয়, কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে অবস্থিত ১৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ও এককভাবে পৃথিবীর বৃহত্তম শরণার্থী ক্যাম্পে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজারের বনাঞ্চল যাতে হুমকির মুখে না পড়ে, সেজন্য কমিটি রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে জ্বালানির ব্যবস্থা করতে সুপারিশ করেছে। এদিকে কমিটি জানিয়েছে, এছাড়া এত বিশাল পরিমাণ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে চাল, ডাল, তেল, লবণ সরবরাহ করা হলেও তাদের জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে না। সেকারণে তারা পাহাড়ের গাছ কেটে জ্বালানি হিসেবে তা ব্যবহার করছে। এর ফলে পাহাড় পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে। তাই সাড়ে ১০ লাখ মানুষ কীভাবে রান্না করবে, জ্বালানি হিসেবে কী ব্যবহার করবে তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিটি।
কমিটির সভাপতি টিপু মুনশির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মো. ফরিদুল হক খান, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ফখরুল ইমাম এবং কামরুন নাহার চৌধুরী অংশ নেন।
এছাড়া বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, পুলিশ সদর দপ্তরের মহা-পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, বিজিবির মহাপরিচালক, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার, কক্সবাজারসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ