বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু সাঈদ তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তবে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও হেড অব ট্রেজারি আবু হেনা মোস্তফা কামালের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে আদালতে হাজির করে তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ড চান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান।
তবে শুনানি শেষে আদালত ব্যবসায়ী সাইফুল হকের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আর দুইজনকে জামিন দেওয়া হয়।
১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে এনে গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় ৮জনকে আসামি করে মামলা (নম্বর-৩০) করেন গুলশান আলোয়ার প্রধান। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়েই এবি ব্যাংক থেকে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৬৫ কোটি টাকা প্রায়) মধ্যপ্রাচ্যের একটি ব্যাংকে স্থানান্তর করেন আসামিরা।
এই টাকা এবি ব্যাংক লিমিটেডের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) শাখা চট্টগ্রামের ইপিজেড থেকে দুবাইয়ে পাচার করা হয়। এরপর পাচার করা অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে তা আত্মসাৎ করেছেন তারা।
এদিকে ডিসেম্বরে তাদের কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। আর জিজ্ঞাসাবাদে ২৮ ডিসেম্বর দুদকের মুখোমুখি হলে অনুতপ্ত হয়ে ওয়াহিদুল হক বলেন, পাচার হওয়ার পরে তিনি বুঝতে পেরেছেন টাকাগুলো পাচার হয়েছে। কিন্তু তখন আর তার কিছুই করার ছিলো না।
ওই সময় নিজেকে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত না থাকারও দাবি করেন তিনি। মামলার তদন্ত চলাকালে তার পাসপোর্ট জব্দ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
এমআই/এমএ