বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে মেদিনীমণ্ডল ইউনিয়নের যশলদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নুরুজ্জামান ওই গ্রামের হাসান উদ্দিন মোল্লার ছেলে ও পেশায় একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান,
নিজ বাড়িতে ভাবি ও বোনের সঙ্গে ঝগড়া হয় নুরুজ্জামানের। ঝগড়ার পর ভাবি তার মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামী, অর্থাৎ নুরুজ্জামানের ভাইকে ফোন দিয়ে ঝগড়া সম্পর্কে জানান।
কিছুক্ষণ পর মালয়েশিয়া থেকে নুরুজ্জামানের ভাই শাওন নামে একজনকে ফোন করেন। ফোনে শাওনকে বাড়িতে গিয়ে নুরুজ্জামানকে সেখান থেকে বের করে দিতে বলেন। শাওন বাড়িতে আসলে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি ও কথা কাটাকাটি হয়।
নুরুজ্জামান শাওনকে কোদাল দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করেন। বিবাদের একপর্যায়ে স্থানীয় কিছু মানুষও এতে যোগ দেয়। স্থানীয়রা যশলদিয়া পানি শোধনাগার এলাকায় নুরুজ্জামানকে পিটিয়ে আহত করে।
পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ষোলঘড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুজ্জামানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। ঢাকা যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৮
বিএসকে/এনএইচটি