শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বারিধারায় ভারতীয় হাইকমিশনের চ্যান্সারি কমপ্লেক্সে দেশটির জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রজতন্ত্র দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এ সময় ভারতীয় কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসে বাংলাদেশে অবস্থানকারী সকল ভারতীয় নাগরিকদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এদিন যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয় ভারতীয় হাইকমিশন কার্যালয়। এদিন কোমলমতি শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ দিবসটি পালন করেন।
পাতাকা ওড়ানোর পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের মূলমন্ত্র মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দেশটির ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় নৃত্য ও করিওগ্রাফির মাধ্যমে। এছাড়া দিনভর নানা আয়োজন থাকছে দিবসটি উপলক্ষে।
হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, প্রজাতন্ত্র সব মানুষের জন্য। আমাদের মানুষরাই প্রজাতন্ত্রের স্তম্ভ। আমাদের সৈন্যরা যেমন প্রজাতন্ত্রের জন্য যুদ্ধ করেছে, কৃষক যেমন ফসল ফলিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের প্রজাতন্ত্র রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছে, তেমনি ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, নার্স, বুদ্ধিজীবী, সাধারণ মানুষ আমরা সবাই আমাদের প্রজাতন্ত্রের স্বপ্ন দেখি।
তিনি বলেন, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারত প্রজাতন্ত্র লাভ করে যা আমাদের জাতি গঠনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তর। দুই বছর আগে স্বাধীনতা লাভ করলেও প্রজতন্ত্র লাভ করার পর আমরা সত্যিকারের সকল নাগরিকদের জন্য সমতা নিশ্চিত করি। অনেক সংগ্রামের পর আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। প্রত্যেক মানুষ প্রত্যেককে সম্মান করবে এই শিক্ষা আমাদের প্রজাতন্ত্র দিয়েছে।
ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে। ভারত শাসনের জন্য ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হওয়ার ঘটনাকে স্মরণ করে এটি ভারতের জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। এই দিনে ভারতীয় গণপরিষদে সংবিধান কার্যকরী হলে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ