এতে যেমন নানা প্রতিকূলতা ও ঝুঁকি নিয়ে নৌযান চালনা করতে হয় মাস্টারদের তেমনি ভোগান্তিতে পড়তে হয় এই রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের। দ্রুত সময়ের মধ্যে নাব্যতা সংকটের সমাধান ও ডুবোচর অপসারণ না করলে এ সমস্যা আরও প্রকট হতে পারে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, পটুয়াখালী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ২৫২ কিলোমিটারের মতো নৌপথ রয়েছে। যার মধ্যে পটুয়াখালী নৌ-বন্দর সংলগ্ন এলাকা থেকে কবাই পর্যন্ত বেশ কিছু ডুবোচর রয়েছে। পাশাপাশি বাকেরগঞ্জ সংলগ্ন আপালকাঠি ও হিজলার মিয়ারচরসহ বিভিন্ন জায়গায় ডুবোচর ও ভাটায় তীব্র নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। এতে প্রায়ই লঞ্চগুলো আটকে যায়। শীতের সময় কুয়াশা না থাকলে ধীরগতিতে ডুবোচর এড়িয়ে নৌযান চালনা সম্ভব হলেও কুয়াশা থাকলে তা আর সম্ভব হয় না। ফলে এই রুটের লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করতে প্রতিনিয়ত ব্যর্থ হচ্ছে।
এদিকে, শীত মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন-৮ লঞ্চের মাস্টার জামাল হোসেন।
পটুয়াখালী বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নাব্যতা সঙ্কটের সমস্যা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানানো হয়েছে। অনেক জায়গায় ড্রেজিং-এর কাজ চলছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এমএস/আরআর