ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আসন্ন নির্বাচনই নতুন আইজিপির বড় চ্যালেঞ্জ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
আসন্ন নির্বাচনই নতুন আইজিপির বড় চ্যালেঞ্জ  পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফল করাই পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বর্তমান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জাবেদ পাটোয়ারীকে নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৩১ জানুয়ারি বর্তমান আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক অবসরে গেলে ওইদিন দায়িত্বগ্রহণ করবেন তিনি।  

শহীদুল হক বলেন, তার (নতুন আইজিপি) জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটা নির্বাচনের বছর। সুষ্ঠু ও সফলভাবে নির্বাচনটা সম্পন্ন করাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, নতুন আইজিপি আমার ব্যাচমেট, তিনি ৩২ বছর চাকরি করেছেন, তার অনেক অভিজ্ঞতা আছে।  

‘আমি আশা করবো, আমরা যে গণমুখী পুলিশিং ব্যবস্থাটা চালু করেছি।  তিনি সেটা অব্যাহত রাখবেন। ’ 

তিন বছরে নিজের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে আইজিপি শহীদুল হক বলেন, আমরা সবসময় বিশ্বাস করেছি পুলিশ জনগণের বন্ধু, ভুক্তভোগীর শেষ আশ্রয়স্থল। জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধন করে আমরা কাজ করেছি। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনবান্ধব জবাবদিহিতামূলক পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করেছি। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।

‘কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে পুলিশের সেতুবন্ধন অনেক এগিয়ে গেছে। এ ব্যবস্থাটা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে আরও উন্নতি হবে। ’ 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আস্থা রেখে আমাকে পুলিশ প্রধান করেছিলেন। আমি প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতি পূর্ণ সমর্থন রেখে কাজ করতে সব ধরনের চেষ্টা করেছি। পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কল্যাণে অনেক কাজ করেছি।  

‘এক টেবিলে ৩ বছরে সব করা সম্ভব নয়। তারপরও যা করেছি ব্যক্তিগতভাবে আমি সেটিসফাইড। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যতটুকু করেছি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি আমি সফল। ’

দায়িত্বকালে জঙ্গিবাদের উত্থান ও দমন প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পরবর্তী সময়ে জঙ্গিবাদের যে উত্থান হয়েছিল তা আমরা কীভাবে দমন করেছি জনগণই সেটা মূল্যায়ন করবে। তবে এটা শতভাগ নির্মূল করতে পারিনি। জঙ্গিবাদ নির্মূল করার চ্যালেঞ্জটা থেকে গেল। আশা করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে।  

পুলিশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের ওপর মাঠপর্যায়ে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের চেষ্টা হয়। যারা রাজনীতি করেন তারা জনকল্যাণেই কাজ করেন। সুতরাং জনকল্যাণে কোনো হস্তক্ষেপ হলে আপত্তি নেই। তবে পুলিশ কারো ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহৃত হবে না।  

‘কারণ আমরা যা-ই করি আইন মেনে করি। সারাদেশে হাজারও কাজ করে পুলিশ, কতটা কাজে আর হস্তক্ষেপ আসে? সব রাজনৈতিক দলই পুলিশের ওপর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের কাজ আমরা করে যাই। ’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে কোনো ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা রয়েছে কি না জানতে চাইলে বিদায়ী আইজিপি বলেন, রায় দেবেন আদালত। আদালত কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে রায় দেন না। এতোদিনের পাওয়া প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেওয়া হবে।  

‘সুতরাং রায় যেটাই হোক সেটা সবার মেনে নেওয়া উচিত। রায় না মানলে তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন, এটারও আইনি প্রক্রিয়া আছে। তাছাড়া, বিএনপি একটি দায়িত্বশীল দল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয় এমন কোনো কর্মসূচি তারা দেবে না বলে আমার বিশ্বাস। ’

তিনি বলেন, তবে এ রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সহিংসতা সৃষ্টি করলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮/আপডেট: ১৩৪৬ ঘণ্টা
পিএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।