একইসঙ্গে তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে অপসারণের দাবি জানান।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা এখানে আজ শেখ হাসিনা সরকারের বিপক্ষে দাঁড়াইনি, আমরা সরকার পতনের আন্দোলনেও দাঁড়াইনি। আমরা আজ এখানে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করতে দাঁড়িয়েছি।
বক্তারা আরও বলেন, এই পথ প্রশস্ত করতে হলে একাত্তরের রণাঙ্গনের প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে এসব মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও জাতীয় সংবিধানে সেই অবদানের কোনো স্বীকৃতি নেই। অপরদিকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে আমাদের মান-মর্যাদা আজ ধুলায় লুণ্ঠিত।
‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কোনো অবস্থাতেই দেড় লাখের বেশি নয়। ’
সব শেষে বক্তারা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ২০১৭ সালের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা এবং বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের গেজেট সম্পূর্ণ বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর সংজ্ঞার আলোকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রস্তুতের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসআইজে/এএ