শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই শুরু হয় স্প্যান বসানোর আনুষঙ্গিক আনুষ্ঠানিকতা। এর আগে স্প্যানটি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি অবস্থান করে।
এদিকে, সকালে স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি রওনা হওয়ার সময় চারদিকে পলি জমে যায়। পরে ড্রেজার দিয়ে পলি কেটে তা সরিয়ে রওনা হয় ক্রেনটি।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা বাংলানিউজকে জানান, পিলারের উপর স্প্যান বসতে ৩৫ নম্বর পিলার এলাকা থেকে ৩ হাজার ৬শ’ টন ধারণ ক্ষমতার Tian Yi ক্রেনে করে নিয়ে যাওয়া হয় ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলার এলাকায়। ৩৮ নম্বর পিলারের সঙ্গে ৭বি স্প্যানটিকে স্থায়ী ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হবে এবং এরই মধ্যে লোড বহনের জন্য লিফটিং ফ্রেম তৈরি করা হয়েছে। স্প্যানটি পিলারের উপর রাখার পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালানো হবে। রাখার পর সব কিছু মিলিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে স্থায়ীভাবে স্প্যানটি বসতে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২ পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো এবং সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ