বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ওই কূপ থেকে গড়ে ১১ থেকে ১২ মিলিয়ন পর্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্তভাবে গ্যাসের উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হবে বলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কর্মকর্তরা জানিয়েছেন।
তারা আরো জানান, এটি দেশের ২৭ তম গ্যাস ক্ষেত্র। গ্যাস মজুদের দিক থেকে দেশের মধ্যে এটি অন্যতম বলে মন্তব্য করেছে বাপেক্স।
ভেদুরিয়া দায়িত্বরত বাপেক্স প্রকল্প পরিচালক বজলুল রহমান জানান, মাটির ৩ হাজার ৩৪৮/৩ হাজার ৩৫২ ফুট নিচে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়। এ কূপে ৬শ’ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর ভোলা সদরের ভেদুরিয়া এলাকায় নর্থ-১ কূপে খনন কাজ করা হয়। চলতি মাসের ১৫ জানুয়ারি গ্যাসের সন্ধান পায় বাপেক্স।
শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ইনচার্জ মো. হাসানুজ্জামান জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্তভাবে গ্যাস উত্তোলনের কাজ শুরু হবে। তখন এই কূপ থেকে দৈনিক গড়ে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে। চাহিদার ওপর ভিত্তি করে সেখানে আরো একটি কূপ খনন করা হতে পারে। তবে সেটি সময়ের ব্যাপার।
ভোলার শাহবাজপুরে গ্যাস আবিষ্কারের পর ৪টি কূপ খনন করা হয়। সেখানকার ২টি কুপ থেকে প্রতিদিন ৪০/৪২ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন চলছে। এছাড়া শাহবাজপুর ইস্ট-১ নামের অপর একটি কূপ থেকেও ডিসেম্বরে গ্যাসের সন্ধান মেলে।
বাপেক্স জানায়, শাহবাজপুর, শাহবাজপুর ইস্ট-১ ও নর্থ-১ মিলিয়ে ভোলায় মোট ১৫০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে।
এদিকে গ্যাস উত্তোলনের খবরে আনন্দে ভাসছে ভোলার মানুষ। অনেকেই গ্যাস উত্তোলন দেখতে ভেদুরিয়া গ্রামে ভীড় জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮/আপডেট:১৬১৮
আরএ