শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘সচেতন সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দের’ প্রধান সমন্বয়ক ও ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান সুমন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নোমান সুমন বলেন, উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাম ও ছাত্রলীগের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে যদি ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকে আমরা তাদেরও শাস্তি দাবি করছি। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা ছিলো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত। নতুন করে এসব কলেজ অধিভুক্ত করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কিছুটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এরই প্রেক্ষাপটে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে সরে এসে ভিন্ন ব্যানারে কিছু বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস ঘেরাও ও গেইট ভাঙচুর করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ জানুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বাম কিছু বহিরাগত অফিস ঘেরাও করে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। সংবাদ সম্মেলন থেকে এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানান সচেতন শিক্ষার্থীরা।
সচেতন শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হচ্ছে- উপাচার্যের ওপর আক্রমণ, শিক্ষার্থী বোনদের শারীরিক লাঞ্ছনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ বিনষ্টকরণ, কর্মচারী ভাইদের মারধর ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা।
গত ১১ জানুয়ারি রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ১৫ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থানকালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনের সমন্বয়ক মশিউর রহমান সাদিককে মারধর এবং ছাত্রীদের নিপীড়নের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ১৭ জানুয়ারি নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ও বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রক্টর অফিস ঘেরাও করে কলাপসিবল গেইট ভাঙচুর করে। এঘটনায় প্রশাসন মামলা করে। ২৩ জানুয়ারি তিনটি গেইট ভাঙচুর করে উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করে তখন বাম ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাংবাদিকসহ ৫০ জন আহত হয়। এর পরদিন সচেতন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে পাঁচ দফা দাবিতে মিছিল ও মানববন্ধন করে। এতে ছাত্রলীগ সমর্থন দিয়ে অংশ গ্রহণ করে। অন্যদিকে হামলার প্রতিবাদে ২৯ তারিখ ধর্মঘট ডেকেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/