এদিকে মধ্য বাড্ডায় চলছে ইউলুপ নির্মাণের কাজ। ফলে এই এলাকার সড়ক খানাখন্দে ভরা।
তবে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মালিবাগ, বনশ্রী, হাতিরঝিল, বাড্ডা এলাকা থেকে আসা গাড়িগুলো সড়কের মাঝখানেই আড়াআড়িভাবে রেখে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে চালকরা। আর এতে পেছনের গাড়িগুলো আটকে পড়ে সৃষ্টি হচ্ছে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। ধীরে ধীরে এই লাইনগুলো তীব্র যানজটে পরিণত হচ্ছে।
রামপুরা এলাকার রিকশাচালক মামুন বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা এসে ব্রিজের উপরেই নামে। এখান থেকে বিভিন্ন দিকে যায়। তবে বাস চালকরা একজন আরেকজনের আগে যাওয়ার জন্য গাড়ি আড়াআড়ি করে রেখে যাত্রী নামায়। এভাবে প্রতিবার পেছনে ১০/১৫টি গাড়ি আটকে যায়। একপর্যায়ে গাড়ির জটলা বেধে যায়। পুলিশও কিছু করতে পারে না। আর একবার এই জটলা বাধলে ৭-৮ ঘণ্টা ধরে জ্যাম থাকে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কাঞ্চন বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা খারাপ গাড়ি যেতে পারে না। আবার হাতিরঝিল থেকে প্রতিদিন প্রচুর গাড়ি আসে। এসব গাড়ির চাপও যানজটের জন্য দায়ী। বাড্ডার ইউলুপের কাজ শেষ হলে যানজট অনেক কমে যাবে বলে মনে হয়।
কাঞ্চন আরও বলেন, গাড়িগুলোর মধ্যে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা সবসময় থাকে। এতে জটলা বাধে। যে যেদিকে পারে গাড়ি ঢুকিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে।
এদিকে রামপুরা ব্রিজের উপরে উঠতেই কাঞ্চনের কথার সত্যতা পাওয়া যায়। সু-প্রভাত পরিবহনের একটি বাস রাস্তার মাঝখানেই আড়াআড়ি রেখে যাত্রী ওঠানামা করাচ্ছে। এই বাসের সামনে কোনো যানবাহন না থাকলেও পেছনে লম্বা লাইন। এই লাইন ক্লিয়ার হতে না হতেই আবার তুরাগ পরিবহনের আর একটি বাস এসে একইভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে। আবারও আরেকটি লাইন সৃষ্টি হয় পেছনে।
একইভাবে দেখা গেছে, এখানে যাত্রীর বেশি চাপ থাকলেও রাস্তা পারাপারের ফুটওভার ব্রিজ নেই। ফলে কিছুক্ষণ পর পর ১০/১২ জন যাত্রী একসঙ্গে হয়ে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। যানজটের এটাও একটা বড় কারণ বলে মনে করেন সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মনির।
সার্বিক বিষয় নিয়ে রামপুরা ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ এস এম মুক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা ভালো থাকলে সব ঠিক। রামপুরা ব্রিজ থেকে যেদিকেই যাবেন রাস্তার অবস্থা ভালো না। পুলিশ গাড়িগুলো যে দ্রুত পার করবে তার উপায় নেই। আবার যাত্রীদের ঝামেলা তো আছেই। তারা গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হয়।
রাস্তার উপর গাড়ি রেখে যাত্রী ওঠা-নামানোর বিষয়ে তিনি বলেন, রাস্তার উপরে গাড়ি না রাখার জন্য আমরা জিরো টলারেন্স দিয়েছি। প্রতিনিয়ত ডাম্পিং, মামলা, জরিমানা হচ্ছেই। তবুও এদের থামানো যাচ্ছে না। যানজট কমাতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮
এসআইজে/আরআর