রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ফের পিলারের উপর স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক স্প্যান বসানোর আনুষঙ্গিক প্রাথমিক কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়। সেসময় থেকে সেতুটি দৃশ্যমান হয়।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দ্বিতীয় স্প্যান ৭বি (সুপার স্ট্রাকচার) ৩৮ ও ৩৯ নং পিলারের উপর রাখার কাজ শুরু হয়। দ্বিতীয় স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে সেতুটি ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হবে। বর্তমানে ৩৮ ও ৩৯ নং পিলার থেকে ৫০০ মিটার দূরে রাখা হয় ধূসর রঙে রাঙানো ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি।
প্রকৌশলীরা স্প্যান বসানোর ব্যাপারে নির্ধারিত সময়, সিদ্ধান্ত এবং মতামত দিলেও প্রতিবারই তা পরিবর্তন হচ্ছে। আর এ কারণে সংবাদ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। স্প্যান বসানো থেকে শুরু করে উঠানোর আনুষ্ঠানিক কাজ পর্যন্ত দফায় দফায় এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দেওয়ায় পদ্মাসেতুর দ্বিতীয় স্প্যান বসানোর তথ্য নিয়ে দেখা দিয়েছে নানান সমস্যা।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকেই সেতুর ৩৫ নং পিলার এলাকা থেকে ক্রেনে করে স্প্যানটি নিয়ে আসা হয় ৩৮ ও ৩৯ নং পিলার এলাকায়। আলো স্বল্পতা, নাব্যতা সংকট এবং সার্ভে করতে সমস্যা হওয়ায় প্রকৌশলীরা আজ স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। পরীক্ষামূলক স্প্যান বসানোর ব্যাপারে টেস্ট পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ৩৮ নং পিলারের সঙ্গে ৭বি স্প্যানটিকে স্থায়ী ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হবে এবং লোড বহনের জন্য লিফটিং ফ্রেম তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া স্প্যান স্থাপনের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করতে রাত ৯-১০টা বেজে যাবে যে কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী বাংলানিউজকে জানান, টেকনিক্যাল কিছু সমস্যার কারণে আজ স্প্যান বসানোর কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়নি। রোববার চলবে স্প্যান বসানোর কাজ।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২ পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো এবং সেতুর মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ