সকালে সরেজমিনে নিরাপত্তা ব্যবস্থার এচিত্র দেখা গেছে। তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন জোকো উইদোদো।
সফর সূচি অনুযায়ী, দ্বি-পক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি রোববার দুপুরে কক্সবাজার যাবেন জোকো। এরপর সেখান থেকে যাবেন টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। শুনবেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রাখাইনে নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের কথা।
এদিকে জোকোর এ সফর উপলক্ষে কক্সবাজার বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কেও। একই অবস্থা মেরিন ড্রাইভ সড়কেরও।
বিমানবন্দর এলাকায় দায়িত্বরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের কক্সবাজার সফর উপলক্ষে এ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার ঢাকায় পৌঁছালে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেদিনই সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১০টায়
দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করছেন উইদোদো। বৈঠক শেষে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য ঢাকা ছাড়বেন। বিকেল সোয়া ৪টায় কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ফেরার কথা।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বেশ সজাগ ইন্দোনেশিয়াও। প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদিকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুই দফায় বাংলাদেশে পাঠিয়েছিলেন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ঢাকা ছাড়বেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮,২০১৮
কেজেড/এমএ