রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনে উপাচার্যের সঙ্গে অশোভন আচরণ, উপাচার্য ও প্রক্টরের কার্যালয় ভাঙচুরের প্রতিবাদে এ মানববন্ধন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, দাবি থাকলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু বেপরোয়া যে মনোভাব, তাতে ধারণা করা হচ্ছে ভেতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেকোনো ষড়যন্ত্র ঘরের ভেতর থেকেও হতে পারে, বাইরে থেকেও হতে পারে। ঘরের অনেক ছাত্র সংগঠন আছে, আবার এদের মদদপুষ্ট শিক্ষকও রয়েছে। আমরা এই ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক ফায়দার অংশ মনে করি। আমরা এ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবো না।
সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ কেন ডাকা হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের কালচার হলো পুলিশ আসলে তখন শ্লোগান দেবে ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেনো, প্রশাসন জবাব দাও’। এজন্য শিক্ষক-ছাত্র মিলে আমরা সমাধান করেছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বহিরাগতদের চিহ্নিত করে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ১৫ জানুয়ারি নিপীড়নের যে অভিযোগ এসেছে তার ভিডিও ফুটেজ আমরা দেখেছি। যদি এমন হয়ে থাকে সে ঘটনারও আমরা প্রতিবাদ জানাই। কিন্তু সে ঘটনার বিচার করতে হলে তদন্ত কমিটিকে অভিযোগকারীদের সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু আমরা এখনও পর্যন্ত সে ধরনের কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মো. সামাদ, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান, অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এসকেবি/জেডএস