রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এলিশ শরমিন উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে মাইকিং করে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচদিন আগে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমনের ছোট ভাই আবুল খায়েরকে আহ্বায়ক করে ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা যুবলীগের কমিটি অনুমোদন করে জেলা যুবলীগ। এ কমিটিতে বিদায়ী সভাপতি মতিউর রহমান মতিকে এক নম্বর সদস্য করা হয়।
রোববার সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় নতুন কমিটির নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর আগেই উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মতির নেতৃত্বে দলীয় একাংশের নেতাকর্মীরা সংবর্ধনা মঞ্চ ভাংচুর করে।
এ সময় তাদের অস্ত্রের আঘাতে নতুন আহ্বায়কের দুই অনুসারী মারাত্মক আহত হন। পরে তাদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গোটা উপজেলা সদরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সদরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে।
এদিকে, ১৪৪ ধারা জারির পরও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবুল খায়ের দুপুর দেড়টার দিকে প্রায় হাজারখানেক মোটরসাইকেল শোডাউন করে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে আসতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে পুলিশ প্রায় ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বাংলানিউজকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ থেকে ৩ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্থানীয় স্মৃতিসৌধসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এমএএএম/আরআর