রোববার (২৮ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ আদেশ দেন।
টাঙ্গাইলের বিশেষ পিপি একেএম নাছিমুল আক্তার জানান, রোববার পাঁচ আসামি হাবিবুর, সফর আলী, শামীম, আকরাম ও জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে ৩ জানুয়ারি মামলার বাদি মধুপুরের অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর সাক্ষী ও জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়। এ মামলায় চিকিৎসক, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ছোঁয়া পরিবহনের বাসে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন রূপা। এসময় রূপাকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করে হত্যা করেন বাস শ্রমিকরা। পরে মরদেহ মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসটির হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিরা বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
এসআই