তবে, বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন।
এদিকে, ভুক্তভোগী ওই নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে এ অভিযোগ করেছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনে আলমগীর কবির যোগদান করেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, যোগদানের পর থেকে সার্কিট হাউজের যে কক্ষে তিনি থাকতেন সেখানে বিভিন্ন সময় অধীনস্ত নারী সহকর্মীদের ডেকে আনতেন। তিনি তাদের কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ যৌন নিপীড়নেরও চেষ্টা করতেন। জেলার একটি উপজেলায় কর্মরত এক নারী সহকারী কমিশনার এ রকম আপত্তিকর কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর আলমগীর কবিরকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়। তিনি ৩০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যান। তার বর্তমান কর্মস্থল ভোলা।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের এ কর্মকর্তার এমন আচরণের বিষয়টি অনেকটা ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মুখ খুলছেন না।
ভোলায় কর্মরত ওই কর্মকর্তাকে ফোন করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে কোনো নারী কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ আমার কার্যালয়ে আসেনি। প্রশাসনের চাকরি বদলির চাকরি। নানা কারণে কোনো কর্মকর্তা বদলি হতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮
এসআই