মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম রাশেদুজ্জামান রাজা এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আলমগীর জেলা সদরের সিংহেরবাংলা ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের মৃত জব্বার আলীর ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল আলম প্রদীপ (পিপি) বাংলানিউজকে জানান, পারিবারিক কলহের জেরে আলমগীরের স্ত্রী রিনা আক্তার স্বামীর বাড়ি ছেড়ে একই গ্রামে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। শাশুড়ি ফাতেমা আক্তারের বাধার কারণে রিনাকে ফিরিয়ে নিতে ব্যর্থ হন আলমগীর। এতে তিনি শাশুড়ির ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হন।
এর জের ধরে ২০১৬ সালের পহেলা মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবারকপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়ির কাছে একটি দোকানের অদূরে ফাতেমাকে একা পেয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান আলমগীর।
এ অবস্থায় ফাতেমাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মৃত্যুর একদিন পর নেত্রকোনা মডেল থানায় মামলা করেন ফাতেমার ছেলে রাসেল মিয়া। তদন্ত শেষে একই বছরের ২৫ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ।
মামলার সব তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ ও আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন বিচারক।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মুখলেছুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ