ফলে এবারও বোরো ধান চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। এছাড়া বোরো ধান রোপণ প্রায় এক মাস বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোনাপাতিল গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান, মহসিন আলীসহ আরো অনেকে জানান, বিল থেকে পানি বের হওয়ার পথে খালের মুখ বন্ধ করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা পুকুর খনন করায় তাদের এ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে প্রতি বছর।
তারা আরো বলেন, খোলাবাড়িয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে যাওয়া খাল ভরাট হওয়ায় এ নিচু এলাকার পানি নামতে পারে না। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে প্রতিবছর খাল খনন করে পানি নিষ্কাশন করা হলেও বর্ষার সময় দুই পাড়ের মাটিতে খাল আবার ভরাট হয়ে যায়। এতে খনন করেও কোনো লাভ হয় না। বরং সরকারের টাকা অপচয় হয়। এ অবস্থায় পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি গভীরভাবে খনন করা জরুরি।
অপর কৃষক রাজু ও শহিদুল ইসলাম জানান, ধান রোপণের আগে এ সমস্যায় পড়তে হয় বার বার। পাশাপাশি ধান কাটার সময়ও তাদের পড়তে হয় বিপত্তিতে। কারণ সেই সময় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে পাকা ধান তলিয়ে যায়। এতে ধান কাটা ও মাড়াই নিয়েও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া ফলনেও বিপর্যয় ঘটে।
তারা বলছেন, কয়কশ’ কৃষকের প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে আছে। দ্রুতগতিতে এখান থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা না গেলে এবারও তাদের পানি শুকানোর জন্য এক মাস দেরি করে ধান রোপণ করতে হবে। এতে তাদের সময় ও খরচ দু’টিই বাড়বে।
নলডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, জানামতে প্রায় দুইশ’ হেক্টর জমি জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে। প্রতি বছর এ সময় এলেই এ এলাকার প্রায় শতাধিক কৃষক এজন্য সমস্যায় পড়েন। কৃষকদের এ সমস্যা নিরসনে প্রতিবছর বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং সমস্যার সমাধান করা হয়। এ জলাবদ্ধতা নিরসনে কিংবা পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারিভাবে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে কৃষকদের ভোগান্তি কমবে না।
এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাকিব আল রাব্বি বাংলানিউজকে জানান, জলাবদ্ধতার ব্যাপারে এখনও কোনো কৃষক তার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। শিগগির সরেজমিন দেখে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৯
এসআই