রোববার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শহর এলাকায় এমন একটি হাতির দেখা মেলে।
হাতির পিঠে সওয়ার হওয়া তরুণকে সাধারণত মাহুত বলে।
মহাসড়কের দু’পাশ থেকে আসা বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে চাঁদা আদায় করছিলেন সেই মাহুত। টাকা না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছিলো না হাতি। টাকা পাওয়ার জন্য মাহূত অত্যন্ত কৌশলের সঙ্গে হাতি দিয়ে চাঁদার নামে ‘সেলামি’ আদায় করছিলেন। এতে করে মহাসড়কের দু’পাশ থেকে আসা যানবাহন আটকে যানজটের সৃস্টি হচ্ছিলো। ভয়ে অনেকেই টাকা দিয়ে দেন।
একইভাবে মহাসড়কে দু’পাশ দিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অনেকটা ভয় দেখিয়ে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করেন তরুণ মাহূত। অনেকেই উৎসুক হয়ে ঘটনাটি দেখেন। আবার অনেকেই এহেন কর্মকাণ্ডে চরম বিরক্ত প্রকাশ করেন। কেননা এতে করে মহাসড়কে ছোট বা বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে এই আশঙ্কা থেকে। কিন্তু ঘটনা পুলিশের সামনেই ঘটে। তারাও অনেক উৎসুক মানুষের মত ফাঁকে দাড়িয়ে অনেকটা নিরব ভুমিকা পালন করেন।
শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শহরের প্রাণকেন্দ্র বাসস্ট্যান্ড চরম ব্যস্ততম একটি এলাকা। জিরো পয়েন্ট হয়ে চারটি সড়ক চারদিকে চলে গেছে। এমন ব্যস্ততম এলাকায় যানবাহন থামিয়ে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করা অত্যন্ত ঝুঁকির কাজ।
এতে করে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। অথচ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকায় সবসময় পুলিশ থাকে। কিন্তু তারাও নিরব থেকে চাঁদা আদায়ের দৃশ্যটি উপভোগ করেন। একই অভিমত ব্যক্ত করেন সুলতান মাহমুদ, আমির হামজাসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এমন ঘটনা আমার জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৯
এমবিএইচ/এএটি