মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সকালে নিহতের চাচা ধলু সরদার বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার চার আসামিরা হলেন- মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সাবেহরামপুর গ্রামের সালাউদ্দিন, দুলাল, গিয়াস উদ্দিন ও রাসেদ।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান বাংলানিউজকে জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি জিয়াউল জানান, গিয়াস দীর্ঘদিন কোরিয়া ছিলেন। সেখান থেকে ফিরে শ্বশুর কাওসার হোসেনের সঙ্গে মাল্টিপারপাস ব্যবসা শুরু করেন। পরে গ্রামের মানুষের টাকা পরিশোধ না করেই সেই টাকা দিয়ে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করেন তারা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। এরপর থেকেই গিয়াস ঢাকায় পালিয়ে ছিলেন। কোরিয়া যাবার উদ্দেশে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে নিজ বাড়িতে আসেন। এদিন পুলিশের হাতে গ্রেফতার এড়াতে বন্ধু মামুনের বাসায় যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন তিনি।
ওসি আরও জানান, প্রতারণার মামলায় গিয়াসের শ্বশুর কাওসারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট রয়েছে। তাই পুলিশ তার শ্বশুর বাড়িতে যায়। এ খবর শোনার পর গিয়াস পালিয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ১৩ দিনের মাথায় সোমবার (৭ জানুয়ারি) মুলাদীর একটি চরের কাশবনের ভেতর থেকে গিয়াসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে নিহতের স্ত্রী রিমা বেগমের অভিযোগ, নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গত ৩১ ডিসেম্বর মুলাদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার জন্য থানায় যান তিনি। কিন্তু পুলিশ তার জিডি গ্রহণ করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/