ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীতে শীতের দাপট, কমছে না ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
রাজশাহীতে শীতের দাপট, কমছে না ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন জ্বালিয়ে জড়ো হয়েছেন লোকজন

রাজশাহী: অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহের দাপটে রাজশাহীতে ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। পৌষের শেষভাগে শীত যেন হামলে পড়েছে এ জনপদে। দিনভর কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশা রাতের ঘুমকে হারাম করে দিচ্ছে শীতার্ত মানুষগুলোর।

বিশেষ করে পথে-ঘাটে, বাস স্ট্যান্ডে, রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে, মসজিদের বারান্দায় রাত্রীযাপন করা ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন। শীতবস্ত্রের অভাবে রাতে ঘুম আসছে না তাদের।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, বুধবার (০৯ জানুয়ারি) রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  

এর আগে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে টানা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কখনও মৃদু, কখনও মাঝারি, কখনও আবার তীব্রতর হচ্ছে চলমান এই শৈত্যপ্রবাহ।  

জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান বলেন, রাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে রাজশাহীসহ দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে দুই থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর রাজশাহীর ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সময় এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্তও নেমে আসতে পরে।  

এদিকে, রাজশাহী জেলা প্রশাসক এস. এম. আব্দুল কাদের এরইমধ্যে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ শুরু করেছেন। গত ৩ জানুয়ারি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন তিনি।  

জানতে চাইলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বলেন, এরইমধ্যে জেলার ৯ উপজেলার জন্য ৩৭ হাজার ৮০০ কম্বল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মহানগর এলাকার জন্য দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার কম্বল। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এগুলো বিতরণ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।