ক্লান্তিহীন দিন পার করার পর রাতেও নামছেন ‘অ্যাকশনে’। যখন যেখানে অনিয়ম দেখছেন, সেখানেই হাজির হচ্ছেন মেয়র আরিফ।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) মধ্যরাতেও নগরের সুবহানীঘাট একটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাতে দেখা যায় নগর কর্তাকে। মেয়রের এমন উদ্যোগ সব মহলে প্রশংসার পাশাপাশি তাকে সিলেটের ‘ফাটা কেষ্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন নগরের বাসিন্দারা।
বুধবার দিনগত রাত ১২টার দিকে নগরের উপশহর থেকে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। পথে সুবহানীঘাট পয়েন্ট প্রধান সড়কের পাশের একটি রেস্তোরাঁ থেকে ময়লা পানি রাস্তায় ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নজরে আসে মেয়রের। গাড়ি থেকে নেমে মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে করা পাহাড়িকা নামক রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে মালিকের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন।
তখন তিনি মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্কিংস্থলে রেস্টুরেন্ট পরিচালনার অনুমোদনের কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন। এসময় মেয়র তাৎক্ষণিক রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন এবং পর্যাপ্ত কাগজপত্র নিয়ে সিটি করপোরেশনে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।
এ ব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, রেস্টুরেন্টের ময়লা পানি মানুষের চলাচলের রাস্তায় ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এটা রাস্তার জন্যও ক্ষতিকর। তাছাড়া পার্কিং প্লেসে অনুমোদন ছাড়া রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করায় রেস্টুরেন্টটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গ্রাহকদের কাছে সিসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিল বোর্ড বাবদ বকেয়া শতকোটি টাকা আদায়ে মেয়রের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত ২ জানুয়ারি থেকে বুধবার (০৯ জানুয়ারি) পর্যন্ত অভিযানে ২৯ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিকের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আ. ন. ম মনছুফ।
তিনি বলেন, বকেয়া উদ্ধারে মেয়রের তত্ত্বাবধানে ৩টি টিম প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৮
এনইউ/জেডএস