বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শারীরিকভাবে অনেকটা সুস্থ্য থাকায় তাকে ছুটি দেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বাংলানিউজকে জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর গণধর্ষণের শিকার ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হন।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ওই নারী অনেকটা সুস্থ্য রয়েছেন। স্বাভাবিক খাওয়া-ধাওয়া ও নিজে নিজে চলাফেরা করতে পারছেন। সর্বশেষ পুনরায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অর্থোপেডিক বিভাগে আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এছাড়া যেকোনো সমস্যা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।
এদিকে, নির্যাতনের শিকার ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা বাংলানিউজকে জানান, হামলাকারীদের লোকজন তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ তাদের কতোদিন পাহারা দেবে। এরপর তাদের আবারো দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে নিত্যদিন।
এ সময় তারা সরকার ও পুলিশের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানান।
তবে পুলিশ প্রশাসন ওই নারীর নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বললেও এ বিষয়ে তারা বিস্তারিত কথা বলতে রাজি হয়নি ।
উল্লেখ্য, নির্যাতনের শিকার ওই নারী (৩২) গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে ১০-১২ জনের একদল লোক ঘরে ঢুকে প্রথমে স্বামী-স্ত্রী দুই জনকে মারধর করে। পরে স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী ৯ জনের নাম উল্লেখ করে গত ৩১ ডিসেম্বর চরজব্বর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহারভূক্ত ছয়জন এবং তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও পাঁচজনসহ মোট ১১জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মোট আটজন আসামি। সর্বশেষ সোমবার কর্তব্য কাজে অবহেলার দায়ে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
এনটি