ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাণিজ্যমেলায় শ্বশুর বাড়ির পিঠার বাহারি পসরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
বাণিজ্যমেলায় শ্বশুর বাড়ির পিঠার বাহারি পসরা শ্বশুর বাড়ির পিঠা স্টলে ক্রেতার ভিড়, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে। আরও ভালো লাগে, যদি হয় সে পিঠা  ঘরোয়া পরিবেশে বানানো। আর সে চিন্তা মাথায় রেখেই বাণিজ্যমেলার ‘শ্বশুর বাড়ির পিঠা’ নামের স্টলে সেরা বা ঘরোয়া পরিবেশে অন্তত ৪০ রকমের পিঠা বানানো হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক এ মেলার ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করে একটু এগোলেই হাতের বামপাশে ২২ নম্বর স্টল শ্বশুর বাড়ির পিঠা। এই স্টলে প্রায় ৪০ রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতা।

শত শত ক্রেতা-দর্শনার্থী আসছেন দেখছেন এবং কিনছেন বাহারি পিঠা।

স্টল কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের বাহারি পিঠার মধ্যে কিছু আছে স্পেশাল আইটেম। এর মধ্যে রয়েছে- মালপোয়া, দুধ চিতই, পাটিসাপটা। তবে সব পিঠাতেই গাভীর খাঁটি দুধ ব্যবহার করা হয়েছে। নেই কোনো রং বা ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক পদার্থ। এছাড়াও তাদের স্টলে আছে ম্যালা, ম্যারা, পোয়া, ডিমপাকুড়া, মনপুরাসহ হরেক রকম পিঠা।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

আলফাজ নামে এক দর্শনার্থী বন্ধুসহ মেলায় এসেছেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে হওয়ায় মেলায় প্রতিদিন আসা হয়। মেলায় আসা মানে শ্বশুর বাড়ির পিঠা খেতে হবে। দাম কম, মান ভালো, তাই এ দোকানে আসিও বেশি।

একই কথা জানালেন পরিবার নিয়ে আসা রুপালি। তিনি বলেন, কম দামে সুস্বাদু পিঠা পাওয়া যাচ্ছে শ্বশুর বাড়ির পিঠায়। তাই এই স্বাদ মিস করতে চাইনি আমরা।

স্টলটির মালিক ও পিঠা কারিগর মিলন বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্টলে আমি নিজেই পিঠা তৈরি করি। গাভীর খাঁটি দুধ দিয়ে পিঠার বানানো হয় এখানে। কোনো কেমিক্যাল দেওয়া হয় না। তাই ক্রেতাও আসছে খুব ভালো। সব মিলে বলা যায় ভালো সাড়া মিলছে আমার।

মাসব্যাপী এই মেলার পর্দা নামবে ৮ ফেব্রুয়ারি। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।

মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি।

বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। দেশগুলো হলো- থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
ইএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।