পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের পরিঘাটা গ্রাম। যে গ্রাম থেকেই সুন্দরবনের বাঘের গর্জন শোনা যায়।
দুপুর ঘনিয়ে আকাশের সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়েছে তখন দুপুরের খাবার খাওয়াতো দূরের কথা, রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছেন রাজলক্ষ্মী। ঘরের সামনে বসে কি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে রাজলক্ষ্মী বাংলানিউজকে বলেন, পুঁই শাকের বিচি (আটি) রান্না করবো। ভাত হয়ে গেছে, রান্নার কিছুই নাই। ওয়াপদার পাশে বুড়া পুঁইশাকের আটি রান্না করবো আর আলু ভর্তা দিবো।
সরকারি ভাতা পান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাবারে চেয়ারম্যানের কাছে যাইতে পারি না। আমার কপালডাই অলক্ষ্মী, না হইলে এতো কষ্ট ক্যা আমার কপালে?
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাজলক্ষ্মী বাংলানিউজকে বলেন, তিনবার ওয়াপদা ভাঙছে, আমার সবকিছু শেষ হইয়া গেছে। জমি শেষ, বাড়ি-ঘর শেষ, স্বামী-মেয়ে নেই। সরকারি জমিতে থাইক্যাও পাইনা বয়স্ক ভাতা। আমার কপালডাই পোড়া।
এ বিষয়ে কাঠালতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রাজলক্ষ্মী যদি বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতা না পেয়ে থাকেন তাহলে খুব শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এনটি