ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লাইসেন্সের ফরম সংগ্রহে নগর ভবনে ইজিবাইক চালকদের লাইন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
লাইসেন্সের ফরম সংগ্রহে নগর ভবনে ইজিবাইক চালকদের লাইন খুলনা সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সামনে ইজিবাইক চালকদের দীর্ঘ লাইন

খুলনা: লাইসেন্সের ফরম সংগ্রহের জন্য খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নগর ভবনের সামনে ইজিবাইক চালকদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ফরম বিতরণের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে ইজিবাইক চালকদের জটলা পড়ে যায়। দীর্ঘ চার বছর পর নগরীতে ইজিবাইক চলাচলের লাইসেন্স দেওয়া শুরু হওয়ায় চালক ও মালিকদের এমন দীর্ঘ লাইন।

ইজিবাইক চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলারক্ষার লক্ষ্যে সোমবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় একজন ইজিবাইক চালকের হাতে ফরম তুলে দিয়ে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ কার্যক্রমের উদ্ভোধন করেন।

কেসিসির এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ইজিবাইক মালিক-চালকরা। এতে নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। তবে নগরীর স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার ক্ষেত্রে মালিকদের ব্যাপারে কড়াকড়ি করলেও চালকদের ব্যাপারে নিয়মটি শিথিল করার দাবি জানান চালকরা।

কেসিসি সূত্রে জানা যায়, প্রতি ফরমের মূল্য রাখা হচ্ছে ৫শ’ টাকা। পাঁচ হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দেওয়ার আগের সিদ্ধান্ত অটল থাকলেও ১০ হাজার ইজিবাইকের মালিক আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ফরম বিক্রি চলবে।  
 
ইজিবাইক লাইসেন্স ফরম নিতে গেলে চালক বা মালিককে নগরীর স্থায়ী বাসিন্দার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ইজিবাইকের মালিকানার কাগজপত্রসহ সংশ্লিষ্ট আরো কিছু কাগজপত্র লাগছে। এসব কাগজপত্র গেজেটেড অফিসারের মাধ্যমে সত্যায়িত করে ফরমের সঙ্গে সংযুক্ত সাপেক্ষে জমা দিতে হচ্ছে বলে জানান কেসিসির সিনিয়র লাইসেন্স অফিসার এস কে এম তাছাদুজ্জামান।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারির পর থেকে খুলনা নগরীতে ইজিবাইক প্রবেশ ও বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। এজন্য নগরীতে আটটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যার কাজ এখনও চলছে। যানজট নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।

২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে নগরের সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত এ যানটি চলাচল শুরু করে। যানটি দ্রুত নগরে ছড়িয়ে পড়ায় নগরীতে যানজট বেড়ে যায়। গাড়ি চালানোয় চালকদের ন্যূনতম দক্ষতা না থাকায় এবং নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলাচলের কারণে পথচারী ও যাত্রীদের প্রায়ই দুর্ঘটনার মুখে পড়তে হয়। বিদ্যুতের সাহায্যে ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ করার কারণে নগরে লোডশেডিংয়ের মাত্রাও বেড়ে গিয়েছিল। এ কারণেই বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও পথচারীরা নগরে ইজিবাইক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

২০১৬ সালের ১১ মে খুলনার তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর নগর ভবনে সাবেক সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় ২ সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কেএমপি’র শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সভায় বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত বর্তমান মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আলোর মুখ দেখছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।