বুধবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, পরিচয়পত্রের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান নিশ্চিত করা হবে।
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সব সিনিয়র সিটিজেন ও এক বছরের কম বয়সের শিশুরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা পাবে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বিশেষ করে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫ লাখ টাকার বাড়ি উপহার দেবে সরকার।
সাতক্ষীরায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ ও এখানকার সব বধ্যভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে তাদের দাফনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। এখন তা বাড়িয়ে ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এ টাকা পেতে আগে অনেক ভোগান্তি হতো। কিন্তু এ ভোগান্তি নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মারা গেলে গার্ড অব অনার দেওয়ার আগেই স্থানীয় প্রশাসন এ টাকা পরিশোধ করবে। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শতবর্ষ পূর্তি ও ২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি জাঁকজমকভাবে উদযাপন করা হবে।
তিনি উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, নির্বাচনে মাজা ভাঙা দলগুলো অপকৌশল চালাতে পারে। এ বিষয়ে সতর্ক থেকে সর্বত্র নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম জগললু হায়দার, জেলা আওয়মী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মইনুল হক আনছার, পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মীর মাহমুদ হাসান লাকি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী সাতক্ষীরা শহরের কাছারীপাড়া মোড়ে নবনির্মিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসহ আশাশুনি, দেবহাটা, কলারোয়া, শ্যামনগর, তালা ও কালিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসআই