ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রীমঙ্গলের পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোর করুণ দশা

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
শ্রীমঙ্গলের পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোর করুণ দশা ইউনিয়নের পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্রের করুণ অবস্থা | ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোর করুণ দশা। নেই সংস্কারের কোনো উদ্যোগ। ইউনিয়ন পর্যায়ে পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোর সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের দান করা জমিতে মানবসেবার স্বপ্ন নস্যাৎ হয়ে যাচ্ছে।

এ পরিবার উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো মধ্যে রয়েছে পরিবার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সামাজিক শিক্ষা ও স্বাক্ষরতা কর্মসূচি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামে বিবিধ কল্যাণমূলক কাজ সংগঠন ও পরিচালনা, মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, পরিবার পরিকল্পনা প্রশিক্ষণ ও সেবা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, সমাজসেবা কমিটির সভা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এসব কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার অভাবে সরকারের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দেখভালের অভাবে উন্নয়ন কেন্দ্রের সেমিপাকা টিনশেড ঘরগুলোর টিন পুরনো হয়ে জং পড়েছে। বৃষ্টি হলে ঘরের ভিতরে বৃষ্টির পানি পড়ে। ফলে নষ্ট হচ্ছে ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র। র্দীঘদিন ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ার ফলে খসে পড়ছে দেয়ালের প্লাস্টার, ফাটল দেখা দিচ্ছে দেয়ালে। অফিসের ভিতরে গরু, ছাগল, পোকা-মাকর বাসা বেঁধেছে।
ইউনিয়নের পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্রের করুণ অবস্থা | ছবি: বাংলানিউজপশ্চিম আশিদ্রোন গ্রামভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, ভূনবীর ইউনিয়নের লইয়ারকুর পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্র, সিন্দুরখান ইউনিয়নের ষাঁড়েরগজ পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্র এবং মির্জাপুর ইউনিয়নের সুইলপুর ধোবারহাট পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্র সরজমিনে ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। এমন চিত্র শুধু এসব কেন্দ্রগুলোতে নয়, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় শ্রীমঙ্গল, কালাপুর ইউনিয়নের সিরাজনগর পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোতেও দেখা গেছে।

আশিদ্রোন ইউনিয়নের পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্রের জমিদাতা মো. মদরিছ মিয়া জানান, আমার স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন রয়ে গেছে; নেই কোনো কার্যক্রম। ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে, আমার নিজ খরচে মাঝে দুটি টিন পরিবর্তন করেছি। অফিসের ভিতরে পোকা-মাকড়, টিকটিকি, গরু-ছাগলের বাসা হয়ে রয়েছে। যে স্বপ্ন নিয়ে জমি দান করেছিলাম সে স্বপ্নপূরণ হলো না।

এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. শোয়েব হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের পরিবার উন্নয়ন কেন্দ্রগুলো সংস্কারের বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। তবে বিষয়টি কিছুটা সময়সাপেক্ষ। সরকারি অনুমোদনের পর আবার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
বিবিবি/এমজেএফ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।