ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাগুরায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
মাগুরায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন  মাগুরার নতুন বাজারের হাট

মাগুরা: মাগুরায় শীতকালীন সবজির ব্যাপক ফলন হয়েছে। জেলার সবজি বাজারগুলো তাই বিভিন্ন রকমের সবজিতে ভরপুর। মাগুরার সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানীসহ অন্যান্য জেলারও চাহিদা পূরণ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সরজমিনে সবজির হাট ঘুরে ফুলকপি, পাতাকপি, শীম, লাউ, পেঁপে, আলু, মিষ্টি ও কুমড়াসহ বিভিন্ন প্রকারের শীতকালীন সবজির দেখা মেলে।

বেনিপুর গ্রামের কৃষক সমীর বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে সবজির উৎপাদন বেশি হওয়া তেমন দাম পাচ্ছি না।

তবে যেসব কৃষক শীতের শুরুতে ভালো সবজি উৎপাদন করতে পেরেছে, তারা ভালো দামও পেয়েছে।

সবজির বাজারখ্যাত মাগুরার নতুন বাজারের হাট। প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে এই হাটে বিপুল পরিমাণ সবজির আমদানি ঘটে। শীত মৌসুমের সবজি বলতে মোটামুটি যা বোঝায়, তার প্রায় সবগুলোই পাওয়া যায় এ হাটে। সপ্তাহে দুই দিন (বৃহস্পতিবার ও রোববার) বসে এ হাট।

আঠারোখাদা ইউনিয়নের সবজি চাষী নরত্তম বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, সবজি চাষের জন্য প্রয়োজন অনুকূল আবহাওয়ার। এবার সেটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল। এ কারণে সবজির আবাদ ভালো হয়েছে। আশাতীত ফলন হয়েছে। এতে করে স্থানীয় বাজারের চাহিদার চেয়ে বেশি সবজির আমদানি ঘটছে। তাই সবজির দাম প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে।

কাশেম মোল্ল্যা নামে এক ক্রেতা জানান, সবজি উঠানোর উপযুক্ত সময় হলে জমিতে ফেলে রাখা সম্ভব নয়। আবার ঘরে মজুদ করে রাখাও অসম্ভব। তাই সবজি পঁচে যাওয়ার ভয়ে বিক্রি করা ছাড়া কৃষকের কোনো উপায় থাকে না।

ব্যাপারী আলমগীর হোসেন ও কাদির মোল্ল্যা বাংলানিউজকে জানান, তারা কৃষকের কাছ থেকে কম দামে সবজি কিনলেও অতিরিক্ত খাজনা, পরিবহনখাতে অধিক ব্যয় ছাড়াও নিজেদের লাভের  বিষয়টি  মাথায়  রাখতে হয়।

মাগুরার নতুন বাজারের হাট

হাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টমেটো, বরবটি, আলু, মূলা, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, বেগুন ও বিভিন্ন জাতের শাসসহ দেশীয় সব ধরনের টাটকা সবজি ব্যাপক হারে পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতারা সবজি কিনতে ভিড়ও করছেন।

পাট ও ভুসিমাল ব্যবসায়ীর সভাপতি আব্দুর সালাম বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, এই হাট সবজির বাজার হিসেবে খ্যাত। এখানে সপ্তাহের দুইদিন মাগুরা নতুন বাজার এলাকার প্রধান রাস্তার দুই পাশে সবজির হাট বসে। এতে যানজট সৃষ্টি হয়। হাটের জায়গার স্বল্পতার কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, চলতি শীত মৌসুমে জেলায় সাড়ে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে রকমারি সবজি চাষ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্ত সবজির বাম্পার ফলন হওয়ার মৌসুমের শেষ হওয়া পর্যন্ত উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমএমইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।