ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা রয়েছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা রয়েছে নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছেন প্রতিমন্ত্রী-ছবি-বাংলানিউজ

বরিশাল: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা রয়েছে। এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও নদী ভাঙন কবলিত মানুষের কথা তিনি চিন্তা করেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন।

এর আগে সকাল ১০টায় নগরীর চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বেলতলায় কীর্তনখোলা নদীর তীরে ভাঙনের হুমকিতে থাকা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টসহ ওই এলাকার চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে কীর্তনখোলা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

পরে সেখান থেকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের উপকণ্ঠ বেলতলা, সদর উপজেলার চর কাউয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জুলফিকার আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রমজান আলী প্রামাণিক, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ ও খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মো. আনিচুর রহমান মোল্লা প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বলেন, আমি যখন এই সদর উপজেলায় আসতাম, যখন নদী ভাঙন দেখতাম তখন খুব কষ্ট লাগতো। ভাবতাম যে এই এলকার লোকজনের কবে কষ্ট লাঘব হবে। এদের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে কোনদিন সুযোগ দেবে। আল্লাহ আমার সেই দোআ কবুল করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই নদী ভাঙনের হাত থেকে বরিশালবাসীকে রক্ষা করা হবে। আর তাই আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চরবাড়িয়া এলাকায় নদী ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে। এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে খুলনা শিপইয়ার্ডকে। তারা নৌবাহিনীর মাধ্যমে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করবেন। এরইমধ্যে তারা এখানে এসেছেন, পরিদর্শন করেছেন।  

এ কাজে গাফলতির কোনো সুযোগ নেই। কোনো প্রকার গাফেলতি হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিধায় আমি নিজে প্রতি সপ্তাহের দু’দিন বরিশালে থেকে কাজের বিষয়ে নিজে খোঁজ খবর ও তদারকি করবো।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে আমি বরিশালের মানুষের পাশে থেকে কাজ করে আসছি। নির্বাচনের আগে দেওয়া আমার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যাইনি। ভোলার গ্যাস বরিশালে আনা, বরিশালে রেললাইন আনা, পায়রা বন্দর ও তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে এরইমধ্যে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।

তিনি বলেন, বরিশালের প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মসজিদের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সদর উপজেলায় একটি মডেল কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের জন্য কথা বলেছি। আগামী ৫ বছরের মধ্যে বরিশালের চেহারা পাল্টে দিয়ে একটি আধুনিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শহরে রূপান্তরিত করা হবে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জুলফিজার আলী বলেন, কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে দু’টি প্রকল্প রয়েছে। যার মধ্যে একটি ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে এই প্রকল্পের আওতায় চার কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ ও ৫ দশমিক ৬ কিলোমিটার নদীর ডুবচর ড্রেজিং করা হবে।

এছাড়া চরকাউয়া ইউনিয়নে ২৪০ কোটি টাকার আরও একটি প্রকল্প রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে কীর্তনখোলার প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ করা হবে। এ প্রকল্পটির নকশা তৈরি করে ডিপিপি আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।