শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সংগঠনের সভাপতি সুমন শামসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ‘বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন’আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাস, ওয়ার্কার বিডির নির্বাহী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর জনিসহ বিশিষ্টজনেরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অনুসন্ধান বলছে, ১৩শ’ নদীর দেশে এখন জীবিত আছে মাত্র ২৩০টি নদী। উজান দেশের উদাসীনতায় ভাটির দেশের পানি কমে যাওয়ায় আমাদের নদীগুলোর এমন অবস্থা হয়েছে। দেশের ৪০টি নদীতে কমে গেছে পানি, ভয়াবহ পানি সঙ্কটের দিকে এগিয়ে চলছে নদীমাতৃক বাংলাদেশ!
তারা বলেন, নদীতে দূষিত আর্বজনার কারণে দূষণের মাত্রা এতোই বেড়েছে যে, আদি বুড়িগঙ্গা, নড়াই নদী, বালুনদী, শীতলক্ষ্যা নদীসহ তুরাগ নদীর বিভিন্ন এলাকায় নদীর জলে এখন আগুন জ্বলে! আর এই নদীগুলোর দু’পাড়ের সব বাসিন্দাদের রোগ ব্যধির ঝুঁকি বেড়ে গেছে প্রচুর পরিমাণে।
নদী বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিবছর দেশের নদ-নদীতে গড়ে জমা পড়ছে ৪ কোটি টন পলি। ফলে নৌপথ ছোট হয়ে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। গত ৪৮ বছরে নৌপথের দৈর্ঘ্য কমেছে ১৯ হাজার কিলোমিটার। স্বাধীনতার আগে দেশে নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার ১০০ কিলোমিটার, এখন তা কমে মাত্র ৫ হাজারেরও নিচে এসে দাঁড়িয়েছে। খননের অভাবে পদ্মা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তাসহ অন্যান্য নদীগুলো এখন ধু-ধু বালুচর।
এছাড়া দেশজুড়েই অব্যাহত রয়েছে নদী দখল ও দূষণ। ফলে কৃষি, জনস্বাস্থ্য, প্রাণী,উদ্ভিদ হুমকির মুখে পড়েছে বলেও জানান তারা। একইসঙ্গে এসব জীর্ণতা থেকে নদীগুলোকে রক্ষার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
এইচএমএস/এএটি