শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জসিম দাড়িয়ার কাপড়ের দোকান, জাহাঙ্গীর সিকদারের টিনের দোকান, আশিক দাড়িয়ার হার্ডওয়ারের দোকান, আলিম শেখের দোকান, সুজন শেখের প্রসাধনী দোকান, রফিকের টেইলার্স, মেরাজের কাপড়ের দোকান, সেলিম তাজের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে বাজারের একটি লাইটপোস্টে তারে তারে ঘর্ষণের কারণে আগুনের ফুলকি সৃষ্টি হয়। যা নিচে থাকা একটি দোকানে পড়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মুহূর্তের মধ্যে পার্শ্ববর্তী গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায় বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে পুরো বাজারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে প্রথম গৌরনদী ও কোটালিপাড়া ফায়ার স্টেশনের দু’টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে বরিশাল থেকে আরও দু’টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে যায়। ততক্ষণে বাজারের ৮টি দোকান পুরোপুরিভাবে পুড়ে যায়। এছাড়া আরও ৭টি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতার কারণে বাজারের অন্যান্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারাণা করা হচ্ছে। আগুনের কারণে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে আগুনের খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল চন্দ্র দাস, থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউএনও বিপুল চন্দ্র দাস বাংলানিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। তাছাড়া আগুন লাগার প্রকৃত কারণ ফায়ার সার্ভিসকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
এমএস/জিপি