মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সদর উপজেলার কাড়াপাড়া গ্রামের কালিকার পুকুর খননের সময় শ্রমিকরা পাথরটি পায়।
পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. দিদারুল আলম এটিকে নিয়ে তার বাড়িতে রাখেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দিদারুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর কালিকার পুকুরটি স্কেভেটর দিয়ে খনন করছে। খননের একপর্যায়ে সন্ধ্যার কিছু আগে শ্রমিকরা পাথরটি পায়। পরে পাথরটি আমাদের বাড়ির সামনে এনে রেখেছি। আট কোনা বিশিষ্ট পাথরটি প্রায় ৪ ফুট লম্বা। পাথর দেখতে এলাকার লোকজন ভিড় করছে।
বাগেরহাট প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের কাস্টোডিয়ান গোলাম ফেরদাউস বাংলানিউজকে বলেন, পাথরটি বাগেরহাট হযরত খানজাহান আলী (র.) -এর বসতবাড়ি, ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বড় আদিনা মসজিদের স্থাপনার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে। খানজাহানের সমসাময়িক স্থাপনার পিলারের অংশ বিশেষ বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুকুরের আশপাশে কোনো প্রাচীন স্থাপনার ধ্বংসাবশেষের একটি অংশ এ পাথর। পাথরটিকে আমরা বাগেরহাট জাদুঘরে সংরক্ষণ করব।
তিনি বলেন, ষাটগম্বুজ মসিজদের উত্তর ও দক্ষিণের ছয় কিলোমিটার এবং পূর্ব পশ্চিমে আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রাচীন আমলের স্থাপনা রয়েছে। ওই এলাকাজুড়ে এ ধরণের আরও পাথর থাকতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
জিপি