বুধবার (৩০ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
এতে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, নার্সারি মালিক, ভেষজ উদ্ভিদ উদ্ভাবক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৫৫ সালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বনজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, উৎপাদন বৃদ্ধি, বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানের ১৭টি গবেষণা বিভাগের আওতায় এ পর্যন্ত ৫০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এসব প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশ বনজ সম্পদে সমৃদ্ধি লাভ করবে। উন্নতমানের বীজ ও চারা উদ্ভাবন, ভূমির উপযোগিতা অনুসারে বৃক্ষরোপণ, ভেষজ উদ্ভিদের চাষ ও সংরক্ষণ, স্বল্প শ্রম ও মূল্যে চারা রোপণের সহজ পদ্ধতি, অব্যবহৃত কাঠ দ্বারা আকর্ষণীয় বস্তু তৈরি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই ইনস্টিটিউট সাফল্য লাভ করেছে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়নের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ বনজ সম্পদের উন্নয়ন ও সম্পসারণ অপরিহার্য। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটাতে পারলে খুব সহজেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুন্নবী মৃধা, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বন ব্যবস্থাপনা উইং এর মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ প্রযুক্তি হস্তান্তর ইউনিটের আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং পাওয়ার পয়েন্টে উম্ভাবিত প্রযুক্তি উপস্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
আরএ