বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভির সাংবাদিক ও ক্যামেরাপারসনের ওপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আমরা সংবাদকর্মী’র ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এরআগে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) মুগদা জেনারেল হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আরটিভির সাংবাদিক সোহেল রানা ও ক্যামেরাপারসন নাজমুল হোসেন সায়মনের ওপর হামলা হয়।
মানববন্ধনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিকার না পাওয়ার কারণে একের পর এক হামলা হচ্ছে। পুলিশসহ সন্ত্রাসীর কাছে সাংবাদিক সমাজ বারবার নিগৃহীত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার বলেন, মুগদা হাসপাতালে এর আগে ৫ দিন বিদ্যুৎ ছিলো না, পানি ছিলো না। এমন অব্যবস্থার মধ্য দিয়ে একটা হাসপাতাল কিভাবে চলে।
তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে গরিব রোগীরা চিকিৎসা নিতে যায়। সেখানে যদি অনিয়ম হয়, তাহলে মানুষের মৌলিক অধিকার কিভাবে বাস্তবায়ন হবে।
হাসপাতালসহ বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরাই সাংবাদিকদের কাজ। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে প্রশ্ন তোলেন এ সাংবাদিক নেতা।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, সাংবাদিকদের যেভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাতে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সুযোগ কোথায়।
তিনি বলেন, সাংবাদিক নেতারা আজ সরকার ও রাজনৈতিক দলের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু সাংবাদিক সমাজ লাঞ্ছিত হলে কেউ তার পক্ষ নিচ্ছে না। যে কারণে এমন হামলা হচ্ছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানী বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা কঠিন হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের কথা বলতে গেলে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। অনিয়ম না থাকলে কেন বাধা দেবে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন প্রথমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালনে অভিযোগ দেবে। এরপরে কোনো সমাধান না হলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য খান মামুন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/