সরেজমিন দেখা যায়, পানির লেয়ার কমে যাওয়ায় ঘাটের পন্টুন মাটিতে ঠেকে গেছে। পন্টুন থেকে নদীর পানির দূরত্ব বর্তমানে প্রায় ৩শ’ ফুট।
এ রুটে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ২টি ফেরি, ২টি লঞ্চ ও ১০টি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার চলাচল করে। এসব নৌযানে প্রতিদিন রাজবাড়ী থেকে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষ পদ্মা নদী পারাপার হয়। ফেরিতে পারাপার হয় কয়েকশ’ যাত্রীবাহী বাস, অ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ ছোট বড় যানবাহন।
এ ঘাটের ইজারা প্রতিনিধি মো. সোহেল রানা বলেন, পদ্মা নদীতে পানি কমে নাব্যতা সংকট দেখা দেওয়ায় পন্টুন মাটিতে ঠেকে গেছে। পন্টুন থেকে নদী এখন ৩শ’ ফুট দূরে। এ অবস্থায় গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ফেরিসহ অনান্য নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে ঘাট ইজারাদারের প্রতিদিন অনেক লোকসান গুণতে হচ্ছে। নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে নদী পার হচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ যাত্রীই নারী ও শিশু।
জৌকুড়া ঘাটে আসা পাবনা জেলার বেড়াগামী মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের খুব কষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পদ্মা পারি দিতে হচ্ছে।
পাবনা জেলার যাত্রী মো. রফিক বলেন, কয়েকদিন আগে রাজবাড়ীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। এখন জৌকুড়া ঘাট বন্ধ। ফেরি চলছে না। বাধ্য হয়ে ট্রলারে রওনা হতে হচ্ছে। নদীতে পানি কম। জেগে ওঠা চরে ট্রলারও মাঝে মধ্যে আটকে যায়।
ফরিদপুর থেকে পাবনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রাকচালক মনোয়ার মুন্সি বলেন, ট্রাক চালিয়ে জৌকুড়া ঘাটে এসেছি। এখন দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ। কুষ্টিয়া হয়ে কমপক্ষে দেড়শ’ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে। এতে তেল খরচ হবে অনেক বেশি।
রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী কে বি এম সাদ্দাম হোসেন জানান, পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় পন্টুনে ফেরি ভিড়তে পারছে না। তাছাড়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে নাব্যতা সংকট তীব্র হওয়ায় সাময়িকভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘাটটি স্বাভাবিক হতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি। আপাতত ক্রেন দিয়ে টেনে পন্টুন নীচে নামিয়ে ঘাট সচল রাখার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
আরএ