উল্টো ব্রিজ থাকলেও শুধু সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার মানুষকে বাড়তি প্রায় দুই মাইল পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে মানুষের সময় নষ্ট হচ্ছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নে বৃকুঞ্চি মাঠের মধ্যে টেকরাগাড়ী খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজটি। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম-কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর পাকা সড়কের পাশ দিয়ে উত্তরে বৃকুঞ্চি গ্রামের দিকে টেকরাগাড়ীর খাড়ি নামে একটি ছোট্ট খাল বয়ে গেছে। খালটি পারাপারের জন্য একটি ব্রিজের প্রয়োজন দেখা দেয়। সে অনুযায়ী প্রায় ১৯ বছর আগে খালের ওপর নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর বগুড়ার আওতায় ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে তিন লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই খালের ওপর নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি। তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছে না স্থানীয় লোকজন।
বৃকুঞ্চি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ব্রিজের পূর্বদিকে বিশাল এলাকাজুড়ে আবাদি জমি রয়েছে। কিন্তু ব্রিজের কোনো সংযোগ সড়ক নেই। এ কারণে কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে কৃষকরা ব্রিজ হয়ে এপার থেকে ওপারে যেতে পারেন না।
হারুনুর রশীদ নামের আরেক কৃষক বাংলানিউজকে জানান, ব্রিজের দু’পাশে মাটি নেই। সময়ের ব্যবধানে মাটি ধসে গেছে। এ কারণে ব্রিজটি অনেক আগেই পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় ব্রিজের দু’পাশে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এই কৃষক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে নির্মাণের পর থেকেই ব্রিজটি এলাকার মানুষের কোনো কাজে আসছে না। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমি এখানে আসার অনেক আগেই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ব্রিজটি দিয়ে মানুষের চলাচলের জন্য দু’পাশে কেন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি তা আমার জানা নেই। সরেজমিন ব্রিজটি পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমবিএইচ/আরআর