ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্রিজ থাকলেও ঘুরতে হয় বাড়তি ২ মাইল!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯
ব্রিজ থাকলেও ঘুরতে হয় বাড়তি ২ মাইল!

বগুড়া: প্রায় ১৯ বছর আগে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় নির্মাণ করা হয় একটি ব্রিজ। কিন্তু সেই ব্রিজের পাশে আজও সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ফলে ব্রিজটি মানুষের কোনো কাজেই আসছে না।

উল্টো ব্রিজ থাকলেও শুধু সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকার মানুষকে বাড়তি প্রায় দুই মাইল পথ ঘুরে চলাচল করতে হয়। এতে মানুষের সময় নষ্ট হচ্ছে।

সঙ্গে চরম দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের বার বার বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
 
নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নে বৃকুঞ্চি মাঠের মধ্যে টেকরাগাড়ী খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজটি। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের নন্দীগ্রাম-কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর পাকা সড়কের পাশ দিয়ে উত্তরে বৃকুঞ্চি গ্রামের দিকে টেকরাগাড়ীর খাড়ি নামে একটি ছোট্ট খাল বয়ে গেছে। খালটি পারাপারের জন্য একটি ব্রিজের প্রয়োজন দেখা দেয়। সে অনুযায়ী প্রায় ১৯ বছর আগে খালের ওপর নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি।  
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতর বগুড়ার আওতায় ১৯৯৯-২০০০ অর্থবছরে তিন লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই খালের ওপর নির্মাণ করা হয় ব্রিজটি। তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজটি ব্যবহার করতে পারছে না স্থানীয় লোকজন।
 
বৃকুঞ্চি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ব্রিজের পূর্বদিকে বিশাল এলাকাজুড়ে আবাদি জমি রয়েছে। কিন্তু ব্রিজের কোনো সংযোগ সড়ক নেই। এ কারণে কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে কৃষকরা ব্রিজ হয়ে এপার থেকে ওপারে যেতে পারেন না।
 
হারুনুর রশীদ নামের আরেক কৃষক বাংলানিউজকে জানান, ব্রিজের দু’পাশে মাটি নেই। সময়ের ব্যবধানে মাটি ধসে গেছে। এ কারণে ব্রিজটি অনেক আগেই পুরোপুরি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।  

এ অবস্থায় ব্রিজের দু’পাশে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এই কৃষক।  

স্থানীয়দের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে নির্মাণের পর থেকেই ব্রিজটি এলাকার মানুষের কোনো কাজে আসছে না। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।  

উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী ফজলুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমি এখানে আসার অনেক আগেই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে ব্রিজটি দিয়ে মানুষের চলাচলের জন্য দু’পাশে কেন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি তা আমার জানা নেই। সরেজমিন ব্রিজটি পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমবিএইচ/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।