রোববার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী পাংসা ইউনিয়নের ৭২ নম্বর পিলারের কাছে চাইক্ষিয়াং পাড়ার ওপারে এসব শরণার্থী এখন অবস্থান করছেন।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের চীন রাজ্যের প্লাতোয়া জেলায় বেশ কিছুদিন ধরে সেখানকার বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
তবে শরণার্থীরা যাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য রুমা ব্যাটালিয়নের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চারটিরও বেশি টহল দল এখন সীমান্তে অবস্থান করছে।
বিজিবির বান্দরবান সেক্টরের অধিনায়ক কর্নেল জহিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শরণার্থীরা যাতে কোনোভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তের সম্ভাব্য স্থানগুলোতে টহল দল পাঠানো হয়েছে।
রুমার রেমাক্রী পাংসার ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম বাংলানিউজকে জানান, সীমান্তের ওপারে চীন রাজ্যের প্লাতোয়া জেলার বেশ কয়েকটি খুমি, খেয়াং, বম ও রাখাইন অধ্যূষিত এলাকায় হেলিকপ্টার থেকে বোমা বর্ষণ ও গুলি নিক্ষেপ করছে মিয়ানমার আর্মি। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে সেখানকার প্রায় দুইশ’ নারী-পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় জড়ো হয়েছে।
গত ডিসেম্বর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন ও চীন রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরাকান আর্মি দেশটির বিজিপি ও সেনাবাহিনী বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
আরএ