রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১টার দিকে আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেয়। প্রায় ৩ বছর তিনি বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দি ছিলেন।
মুক্তির পর দুদকের যেসব কর্মকর্তার কারণে বিনা অপরাধে জেল খেটেছেন তাদের বিচার দাবি করেছেন জাহালম। এছাড়া সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া কাউকে যেন এভাবে গ্রেপ্তার না করা হয় তারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ‘ভুল আসামি’ জাহালমকে রোববার সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। এ সময় আদালত তাকে তাৎক্ষণিকভাবে কারাগার থেকে মুক্তির নির্দেশও দেন আদালত।
জাহালমের কারা মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা।
তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে জাহালমকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তিনি ২০১৬ সালের ২৭ মে থেকে এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।
জাহালমের ভাই শাহানুর মিয়া বলেন, মিডিয়ার সহযোগিতায় দীর্ঘ দিন পর হলেও সত্য প্রকাশ হয়েছে। যার কারণে আজ আমার ভাইকে আদালত কারাগার থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। আমি ও আমার পরিবার আনন্দিত। তবে আমরা পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এ ক্ষতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইবো। যাদের কারণে আমার ভাইকে বিনা অপরাধে জেল খাটতে হয়েছে তাদের সবার বিচার চাই।
জাহালম টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ধুবড়িয়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। তিনি পাটকল শ্রমিক ছিলেন। সোনালী ব্যাংকের সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির ৩৩টি মামলার মূল আসামি আবু সালেক। কিন্তু তার বদলে এ মামলার আসামি হয়ে বিনা অপরাধে প্রায় ৩ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন পাটকল শ্রমিক জাহালম। ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
এ সময় কারাফটকে জাহালমের ভাই শাহানুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৯
আরএস/এসএইচ/এমএইচএম