এর মধ্যে উত্তম কুমার দেবনাথ (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ উত্তমকে বিষ পান করিয়ে হত্যার পর মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছে অপরাধীরা।
নিহত উত্তম কুমার দেবনাথ (৪৫) বরিশাল নগরীর হাজী মোহাম্মদ মহসিন মার্কেটের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি ঝালকাঠি সদর থানাধীন শেখের হাট এলাকার পরিমল দেবনাথের ছেলে। পরিমল দীর্ঘদিন থেকে উত্তম কুমার নগরীর লাইন রোডে বসবাস করে আসছিলেন। রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) শেবাচিমের মর্গে তার মৃত দেহের ময়না তদন্ত করা হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে উত্তম কুমার দেবনাথকে তার শ্বশুর বাড়ির লোক পরিচয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে দেয়। এরপর শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার হরিনপালা গ্রামে বিষপান করে ১৬ বছরের ইব্রাহিম নামের এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার দুপুরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইব্রাহিম হরিনপালা গ্রামের সোলায়মান হাওলাদারের ছেলে।
স্বজনদের বরাত দিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের সাথে ঝগড়া করে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিষপান করে ইব্রাহিম। ওইদিনই তাকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে একই দিন অসস্থার অবনতি হলে রাত ১টার দিকে তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
এমএস/এমইউএম/এসআইএস