রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর চকবাজার থানায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন। এর আগে দুপুরে মামলার অনুমোদন দেয় কমিশন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পাঁচটি মামলায় ২২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ক্রিসেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএ কাদের, তার ভাই জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার ও রিমেক্স ফুটওয়্যারের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ ৭ পরিচালক এবং জনতা ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তা রয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ক্রিসেন্ট লেদার প্রোডাক্ট লিমিটেডের পরিচালক সুলতানা বেগম ও রেজিয়া বেগম, রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়্যার লিমিটেডের পরিচালক সামিয়া কাদের নদী, রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসেস লিটুন জাহান মীরা, মেসার্স লেক্সকো লিমিটেডের পরিচালক হারুন-অর রশীদ, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আব্দুল্লাহ-আল মামুন, মনিরুজ্জামান, সাইদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমীন, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মাগরেব আলী, খায়রুল আমিন, এজিএম আতাউর রহমান সরকার, ডিজিএম (বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ডিএমডি) রেজাউল করিম, ডিজিএম মুহাম্মদ ইকবাল, একেএম আসাদুজ্জামান, কাজী রইস উদ্দিন আহমেদ, ডিএমডি জাকির হোসেন, ফখরুল আলম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার বাহারুল ইসলাম ও এজিএম শরিফুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ক্রিসেন্ট লেদার প্রডাক্ট লিমিটেডের ৫০০ কোটি ৬৯ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৯ টাকা; ক্রিসেন্ট ট্যানারিজ লিমিটেডের ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ৯৫ হাজার ১২০ টাকা; লেসকো লিমিটেডের ৭৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫৯ টাকা; রূপালী কম্পোজিট লেদারওয়ার লিমিটেডের ৪৫৪ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ টাকা ও রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের নামে ৬৪৮ কোটি ১২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৭ টাকা জনতা ব্যাংক থেকে যোগসাজশ করে আসামিরা আত্মসাত করেন।
ক্রিসেন্ট গ্রুপের ৫টি প্রতিষ্ঠান মোট ১ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ভুয়া রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে এফডিবিপি ও প্যাকিং ক্রেডিটের জন্য ক্রিসেন্ট গ্রুপের ওই প্রতিষ্ঠানগুলো জনতা ব্যাংক লিমিটেড ইমামগঞ্জ শাখা থেকে উত্তোলন করে আত্মসাত করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
আরএম/জেডএস